শবে বরাতের রাত্রিতে যে আমল অবশ্যই করতে হবে! - মাওলানা তারেক জামিল (বাংলা সাবটাইটেল সহ)
শবে বরাতের রাত্রে পুরো বছর কি হবে সেটি ঘোষণা করানো হয় ফেরেশতাদের মাধ্যমে।
একটি জনপ্রিয় হাদিস শোনাচ্ছি,
১৫ শাবানের রাত্রি, লাইলাতুল কদরের রাত্রি, জুম্মার রাত্রি, ঈদের রাত্রির ক্ষেত্রে এই হাদিস...
যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে যে, "এক নেকির বিপরীতে ১০ নেকী দেওয়া হবে।"
এটি হচ্ছে ইন্টার্নেশনাল ল।আদম (আ.) থেকে নিয়ে আমাদের নবীজি (স.) পর্যন্ত এই নিয়ম যে এক নেকির বিপরীতে দশ নাকি দেওয়া হয়।আপনারা তো জানেনই এক নেকির বদলে দশ নেকি দেওয়া হয়।যখন এই আয়াত নাযিল হয়েছে যে, ১ নেকির বদলে ১০ নেকি দেওয়া হবে, তখন নবীজী (স.) আল্লাহকে বললেন, "এই নেকি সামান্য, আরো বাড়িয়ে দিন।"
অতঃপর আল্লাহ এই আয়াত নাযিল করেছে, "কে আছে আমাকে ঋণ দিবে, আমি তাকে কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে ফেরত দিবো"
আমার মাহবুব এখন ঠিক আছে?
নবীজি (স.) আবদার করে বললেন, "আরো সামান্য কিছু বাড়িয়ে দিন।"
আল্লাহ বললেন, "আমার মাহবুব (স.) আপনার উম্মতের এক নেকির বদলে সাতশত নেকি দেওয়া হবে।"
পৃথিবীতে এমন কোন ব্যবসা করেছে যে ব্যবসায় এক টাকা ইনভেস্ট করলে সাতশত গুণ মুনাফা হয়?
পুরো পৃথিবীতে এমন কোন ব্যবসা নেই।নবীজি (স.) আবার বললেন, "ইয়া আল্লাহ সামান্য, আরো বৃদ্ধি করে দিন।"
আল্লাহ বলেন, "আমার এতোটুকু স্পষ্ট যে, আপনার উম্মতের মধ্যে যারা ধৈর্য ধারণকারী হবে তাদেরকে আমি হিসাব ছাড়া নেকি দান করব।"
ব্ল্যাংক চেক, যা ইচ্ছে তা লিখুন।সাতশত লিখুন অথবা সাতশত কোটি লিখুন।এটি হচ্ছে এই উম্মতের সম্পর্ক আল্লাহর সাথে।এই বিশেষ প্যাকেজ এর মধ্যে ১৫ শাবান (শবে বরাত) রয়েছে। ১৫ শাবান (শবে বরাত), লাইলাতুল কদরের রাত্রি, জুম্মার রাত্রি, ঈদের রাত্রি এই রাত্রিগুলো পূর্ববর্তী উম্মতেরা পাইনি। প্রত্যেক রাতের গুরুত্ব পূর্ববর্তী উম্মতের জন্য একই রকম ছিল। বনি ইসরাইলের চারজন ব্যক্তি সম্পর্কে নবীজি (স.) বললেন, "একজন ৮০ বছর জিহাদ করেছে।“
সাহাবীরা (রাযি.) বললেন, "আমাদের মধ্যে অধিকাংশই তো ৮০ বছরের হায়াত পায় না, তার আগেই মারা যায়।"
এই জন্যই আল্লাহ নবীজির (স.) জন্য বিশেষ প্যাকেজ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, "আমি আপনার উম্মতকে এমন এক বিশেষ রাত্রি দান করেছি যা কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।“
সেই সূরার মধ্যে ১৫ শাবানের (শবে বরাত) কথা উল্লেখ রয়েছে।নবীজির (স.) সেই দিন রোজা রাখতেন।সেই রোজার ফজিলতের কথা নবীজি (স.) বলেছেন, "গত ১৫ তারিখ থেকে নিয়ে এই ১৫ তারিখ পর্যন্ত যত গুনাহ হয়েছে সকল গুনাহ এই রোজা মাফ করিয়ে দেয়।"
পুরো বছরের গুনাহ ক্ষমা করিয়ে দেয় এই রোজা।যেমন গভমেন্ট প্রতি বছর বাজেট পাস করে যে, পুরো বছর কি করতে হবে?
ঠিক তেমনই এই রাত্রে আল্লাহ ফেরেশতাদের মাধ্যমে এই ঘোষনা হয় যে ,পুরো বছর কি হবে?
পুরো বছর কি হবে তা ঘোষণা করা হয়।
কোথায় বৃষ্টি হবে?
কোথায় বৃষ্টি হবে না?
কোথায় শান্তি থাকবে?
কোথায় যুদ্ধ হবে?
কোথায় অসুস্থতা থাকবে?
কোথায় সুস্থতা থাকবে?
কে কত দিন জীবিত থাকবে?
কখন মারা যাবে?
অনেক ব্যক্তির নাম ঘোষণা করা হয় যে, তারা এই বছর মারা যাবে।তার নামের পাতায় এই নিশানা দিয়ে দেওয়া হয় যে, সে মুর্দার কাতারে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে।সেই ব্যক্তি এখনও প্রতারণা করছে, চুরি করছে, ডাকাতি করছে, ঘুষ খাচ্ছে, কিন্তু তার নাম মুর্দার কাতারে লিখা হয়ে গিয়েছে।ফেরেশতারা বলে, "কি রকম বোকা ব্যক্তি সে?
তার নাম মুরদাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে, আর সে এখনো বেইমানি করছে?"
আল্লাহর বিশেষ প্যাকেজের মধ্যে জুম্মার রাত রয়েছে, অন্যান্য রাত্রি থেকে উত্তম।ঈদের রাত্রিতে আল্লাহ ক্ষমার ঘোষণা করেন।15 শাবানের (শবে বরাত) জন্য নবীজি (স.) বলেছেন, "আল্লাহ এই রাত্রে তার বান্দাদের ক্ষমা করে দেন।"
No comments