সূরা আল ফাতিহার গোপন রহস্য? - মাওলানা তারেক জামিল (বাংলা সাবটাইটেল সহ)
আমার আল্লাহ বলেন, "আমার বান্দা আমি তোমার মা থেকে (সত্তর গুণ এর মানে আরবিতে আমাদের এখানে ব্যবহৃত সত্তর গুণ নয়, এখানে ভালোবাসার আধিক্য বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে)।আমরা সন্তুষ্ট হতে পারছি না ।আল্লাহ কোরআন নাজিল করেছেন, আমরা বলি কুরআনে আমল করতে পারব কিনা!
অতঃপর আল্লাহ বলছেন, "আর রহমান আর রহিম"
কেন ভয় পাচ্ছো?
কেন কুরআন অনুযায়ী ব্যবসা-বাণিজ্য করো না?
কেন কুরআন অনুযায়ী জীবন যাপন করো না?
চাকরি কেন করছ না?
কৃষিকাজ কেন করছ না?
বিবাহ কেন করছ না?
কেন ভয় পাচ্ছো?
রব্বিল আলামিন প্রথম গ্যারান্টি।আর রহমানির রহিম দ্বিতীয় গ্যারান্টি।আল্লাহ বলছেন, "আমি আল্লাহ লাভ-ক্ষতির মালিক।"
অতঃপর রাব্বুল আলামিন।তোমার উপর মেহেরবান, তোমার সৃষ্টি কর্তা।কেন ভয় পাচ্ছো?
"আমি রহমান, আমি রহিম।"
আল্লাহ পুরস্কার ও শাস্তির নিজামও তো রেখেছেন।অনেক মানুষ আছে যাদের সাথে যতই ভালোবাসার কথা বলোনা কেন, তারা উল্টাই বুঝে।তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য আল্লাহ বলছেন, "মালিকি ইয়াওমিদ্দিন।"
অতঃপর এটিও মনে রেখো যে, আমার কাছে পুরস্কার ও শাস্তির নিজাম রয়েছে।এই বিষয়টিকে আল্লাহ এত সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন যে,
আমি তো আরো নয় কিন্তু আরবিও কিছু পড়েছি।আল্লাহ আরবি পড়ার শখ দিয়েছে।এখানে বর্ণনা করা হয়েছে, আল্লাহ কেমন?
ইয়া আল্লাহ আপনারই বন্দিগী করি, আপনার কাছেই সাহায্য চাই।একদম যেন আল্লাহ সামনে এসে পড়েছেন।উদাহরণ দেওয়ার জন্য বলছি, এই শব্দ গুলো এমন করে দিয়েছে যেন আল্লাহ আমার সামনে এসে পড়েছে।যখন এই আয়াতগুলো পড়ে অতঃপর যখন "ইয়া কানাবুদু" আয়াত আসে তখন আমি বলি, ইয়া আল্লাহ! আমি তো আপনারই ইবাদত করি।আল্লাহ আমি শুধু আপনার কাছেই সাহায্য চাই, অন্য কারো কাছে নয়।নবীজির (স.) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে (রাযি।) বললেন, “ও আমার চাচাতো ভাই, যখন তোমার সাহায্যের প্রয়োজন হবে তখন আল্লাহর কাছে সাহায্য চাবে, সাহায্য একমাত্র আল্লাহ করেন।“
এটি আসবাবের দুনিয়া, এখানে সাহায্য নেওয়া কোন দোষের কিছু নয়।নবীজির (স.) ঋণ নিয়েছেন,নবীজি (স.) বর্ম পড়েছেন, নবীজির (স.) তরবারি হাতে উঠিয়েছেন।কিন্তু সেই কাজ গুলো, যেগুলো একমাত্র আল্লাহতালার হাতে সেই কাজগুলোতে শুধু আল্লাহ কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া হয়।আলেমরা বলেন, "সকল আসমানী কিতাবের সারাংশ কুরআন, কুরআনের সারাংশ সূরা ফাতিহার, সুরা ফাতিহার সারাংশ "ইয়া কানা বুদুও ইয়া কানাস্তাইন"।"
ইয়া আল্লাহ!
আমি শুরুতেই বলেছিলাম, আমরা জীবন অতিবাহিত করার নিয়ম জানিনা।এই দোয়া করা আমাদের ওপর ফরজ করে দিয়েছেন।আল্লাহ বলেন, "তোমার এই দোয়া করতে হবে, কেননা তুমি জাহেল।"
বলো, "ইহদিনা"
কত জরুরী?
আল্লাহ বলেন, খাবার চাও, পানি চাও, স্ত্রী চাও, সন্তান চাও, কাপড় চাও, সম্পত্তি চাও, জমিন চাও, সুস্থতা চাও, সম্মান চাও, সব কিছু চাও কিন্তু এক বিষয়ে দোয়া করা আল্লাহ ফরজ করে দিয়েছেন।যদি তুমি হেদায়েত ব্যতীত মরে যাও, তাহলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।তাই তোমার ওপর এই দোয়া করা ওয়াজিব করছি, ফরজ করছে যে বল, তাই তোমার ওপর এই দোয়া করা ওয়াজিব করছি, ফরজ করছি যে বল, ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম।ইহদিনা অর্থ আমি প্রথমেই বলেছি, ইয়া আল্লাহ আমাকে সরল পথ দেখান। আরবরা এটি শুনে কেন হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল?
আখনাস ইবনে শুরাইক আবু জাহেলকে প্রশ্ন করল, "সত্যি সত্যি বল, মুহাম্মদ (স.) সত্যবাদী নাকি মিথ্যাবাদী?"
আবু জাহেল বলল, "আল্লাহর কসম! সত্যবাদী কিন্তু তার অনুসরণ করবো না। আমি বনু হাশিমের সাথে যুদ্ধ করব, এরপরও তার অনুসরণ করব না।"
হে আল্লাহ সেই সরল পথ দেখান, যেইটা অনুসরণ করলে আমি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারব। সীরাত সরল পথ কি বুঝানো হয়। সেই পথ যে পথে কোন ধরনের গর্ত নেই। যেমন মটরওয়ে। আমি আমার গ্রাম থেকে এই ভিডিওটি বানাচ্ছি। যদি আমার গ্রাম থেকে লাহোর, ইসলামাবাদ, ফয়সালাবাদ যেতে হয় তাহলে আমি এই মটরওয়ে দিয়েই যাই। সীরাত মোটরওয়ে বলে। আল মুস্তাকিম সেই রাস্তা কে বলা হয় যে রাস্তায় বেশি বাঁক নেই, সোজা রাস্তা। না'আম সেই বীজকে বলা হয়, যে বীজ শীত-গরম সকল কালেই জীবিত থাকতে পারে।
উদাহরণ দেওয়ার জন্য এগুলো বলছি। আমার রব বলেছেন, "আমার কাছে সরল পথ চাও।"
No comments