মাহে রমজানে যে কাজগুলো থেকে অব্যশই বিরত থাকতে হবে !! - মাওলানা তারেক জামিল (বাংলা সাবটাইটেল সহ)
পাকোরার দোকানদাররা রমজানের অপেক্ষায় থাকে, কখন রমজান আসবে পাকরা বিক্রি করব!
সমুচার দোকানদাররা রমজানের অপেক্ষায় থাকে, কখন রমজান আসবে সমুচা বিক্রি করব!
জুতার দোকানদাররা রমজানের অপেক্ষায় থাকে, কখন রমজান আসবে জুতা বিক্রি করব!
কারো এই সখই নেই যে ,আল্লাহ ক্ষমা করবেন ,আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব, জান্নাত পাব, আল্লাহর ভালোবাসায় ক্ষুধার্ত থাকবো, আল্লাহর ভালোবাসায় পিপাসিত থাকবো!
ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত অবস্থায় যখন আমরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করব, "ইয়া আল্লাহ" তখন আল্লাহর আরশ পর্যন্ত আমার ফরিয়াদ চলে যাবে।সাত আসমানে আমার ফরিয়াদের কারণে গুঞ্জন সৃষ্টি হবে, এটি আমার বিশ্বাস।আল্লাহ বলেন, নবীজিও (স.) বলেন...
নবীজী (স.) বলেন, "আল্লাহ রমজান মাসে সব ফেরেশতাদের বলেন রোজাদারদের দোয়ার সাথে আমিন বলো।"
আরশের ফেরেশতাদের আল্লাহ বলেন, "আমার তাজবি ছেড়ে রমজানে মাসে রোজাদারদের দোয়া আমিন বল।"
আমাদের দোয়া আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।তখন আনন্দ অনুভব হয় যে, আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য ক্ষুদার্থ আছি।ইফতারির সময় দোয়া কেন কবুল হয়?
খাবার সামনে, পানি সামনে, অপেক্ষা করছে সাইরেনের (আজানের) আওয়াজের জন্য।আল্লাহ ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করেন, "আমার বান্দারা কেন খাচ্ছে না?
খাওয়াও সামনে, পানীও সামনে?"
ফেরেশতারা বলে, "আল্লাহ আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।"
ফেরেশতারা বলে, "আল্লাহ আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।"
আমার বান্দার আমার কাছে চাও।ইফতারির সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময়, সেই সময় পাকোরা খাওয়ার সময় নয়, সমুচা খাওয়ার সময় নয়।সমুচা, পাকরা, রুহ আফজা কত কি আর না খাও!
রোজার বারোটা বাজিয়ে ছেড়ে দাও!
এক মাসের জন্য অল্প খাও।ঠান্ডা শরবত খাবে না, ইফতারির সময়।পরবর্তীতে যদি খেতে হয়, খেয়েও।কিন্তু ইফতারির সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা শরবত খেয়ে, নিজের শরীরের উপর অত্যাচার করো না।ইফতারের পর পর ধৈর্যধারণ করে নরমাল পানি খাও।নামাজ পড়ে জামেসারি খাও, সেভেন আপ খাও, যা ইচ্ছে তা খাও।অতঃপর ঠান্ডা খাও, নরমাল খাও যা ইচ্ছে তা খাও।কিন্তু ইফতারির সময় পরিহার করুন, তৈলাক্ত খাবার থেকে, ভাজা ভুনা থেকে, মসলাযুক্ত খাবার থেকে।ইফতারির সময় অল্প ইফতারি করুন।যেন রোজার উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয়, শরীর পাক-পবিত্র হয়।হ্যাঁ, এর সাথে সাথে নিজের মনকেও পরিস্কার করুন।রমজান মাসে সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, চার প্রকার ব্যক্তি ব্যতীত!
চার প্রকারের পুরুষ-মহিলাকে ক্ষমা করা হয় না।সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, চার প্রকার ব্যতীত।আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।কোন ভাইয়ের মধ্যে যদি এই দোষগুলো থাকে তাহলে, শোনার সাথে সাথে তওবা করে নিয়েন।মদ্যপানকারী (নিয়মিত মদ্যপানকারী) তাকে রমজানে ক্ষমা করা হয় না।পিতা-মাতার অবাধ্য ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয় না।পিতা-মাতার অবাধ্য ব্যক্তি সম্পর্কে নবীজি (স.) বলেছেন, "আল্লাহ প্রত্যেক গুনাহের শাস্তি আখিরাতে দিবে কিন্তু পিতা-মাতার অবাধ্যকে আল্লাহ দুনিয়া মধ্যেই তার জন্য শাস্তি শুরু করে দিবে।"
দুনিয়াতেও তাকে শাস্তি দিবে, আখিরাতেও তাকে শাস্তি দিবে।কুফর-শির্কের শাস্তিও আল্লাহ মৃত্যুর পর দিবে।জিনা, মদ্যপান, সুদদের শাস্তিও আল্লাহ আখিরাতে দিবে।পিতা-মাতার অবাধ্যকে আল্লাহ দুনিয়াতেও শাস্তি দেয়, আখিরাতেও শাস্তি দেয়।নবীজিকে (স.) জিজ্ঞাসা করা হল, "ইয়া রাসুলুল্লাহ কিয়ামত কখন আসবে?"
নবীজী (স.) বললেন, "জানিনা।"
প্রশ্ন করা হল, "কোন নমুনা বলে দিন।"
নবীজি (স.) বললেন, "যখন মাকে অপমান করা হবে, তখন কিয়ামত এসে পড়বে।"
তৃতীয় কে?
আত্মীয় স্বজনের সাথে ঝগড়াকরী।কখনো ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করেছে, কখনো বোনের সাথে ঝগড়া করেছে, কখনো খালার সাথে ঝগড়া করেছে, কখনো চাচার সাথে, কখনো ফুপুর সাথে, কখনো খালার সাথে, কখনো মামার সাথে, নিকট আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী ও সম্পর্ক ভাঙ্গনকারীদের ক্ষমা করা হয় না রমজান মাসে।চতুর্থ কে?
যে মনের মধ্যে কিনা রাখে।ভুগাজ অর্থ কি?
আমি তাকে পছন্দ করি না।আর কিনা হল, আমি যাকে অপছন্দ করি আমি তাকে ক্ষতি করতে চাই।যারা এই চার ধরনের খারাপ কাজ করে, তাদেরকে ক্ষমা করা হয় না রমজান মাসেও।যদি তওবা করে তাহলে সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।আল্লাহ আমাদের রমজান মাস দিয়েছেন।জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। জান্নাতের দরজা খুলে যাবে এই মাসে।একটি ফরজ আদায়ের বিনিময়, ৭০ টি ফরজ আদায়ের সওয়াব পাওয়া যাবে।একটি নফল আদায় করলে, ফরজের সওয়াব পাওয়া যাবে।তারাবির নামাজে প্রত্যেক সিজদায় দেড় হাজার নেকী লিখা হবে।২০ রাকাত নামাজের মধ্যে ৪০ টি সেজদা হয়।প্রতিদিন ৬০ হাজার নেকী লিখা হবে।তোমাদের ক্লাবটি অনেক বড়।তোমাদের ক্লাবের বাইরে যদি একটি নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রত্যেক সিজদার বিনিময় 15 টাকা করে দেওয়া হবে।তাহলে দেখবে তারাবির নামাজ পড়তে আসার জন্য মানুষেরা ঝগড়া শুরু করে দিবে।দাদা তার ছোট নাতিকে নিয়ে আসবে, তারাবি পড়ানোর জন্য।শুধু একটি নোটিশ লাগিয়ে দিন, তারপর দেখুন কি হবে!
আমাদের প্রিয় নবী (স.) বলেছেন, "তারাবির নামাজের প্রত্যেক সিজদায় দেড় হাজার নেকী দেওয়া হবে।"
২০ রাকাত নামাজ পড়তে এক ঘন্টা সময় লাগে।২০ রাকাতের চল্লিশটি সিজদা হয়।সম্পূর্ণ নামাজ পড়লে ৬০ হাজার নেকি পাওয়া যাবে প্রতিদিন।প্রত্যেক সিজদায় জান্নাতের মধ্যে ইয়াকুতের মহল বানানো হবে আপনার জন্য।প্রত্যেক সিজদার বিনিময় জান্নাত এর মধ্যে এমন এক বৃক্ষ লাগানো হবে, যার নিচে ঘোড়া ১০০ বছর পর্যন্ত দৌড়াতে পারবে।এত অল্প সময়ের মধ্যে, এত বেশি অর্জন!
৮ রাকাত নামাজ পড়ে অর্ধেক মসজিদ খালি হয়ে যাচ্ছে।
No comments