শয়তানের সবথেকে বড় শত্রু কে? - মাওলানা তারেক জামিল (বাংলা সাবটাইটেল সহ)


একবার শয়তান আসলো আমাদের নবীজির (স.) সাথে দেখা করার জন্য।নবীজি (স.) শয়তানকে জিজ্ঞাসা করল, "তোর দুশমন কয়জন?"
শয়তান উত্তর দিল, "১৫"
নবীজী (স.) বললেন, "কে কে?"
শয়তান বলল, "প্রথমে নাম্বারে হচ্ছেন আপনি।"
অতঃপর বলল, "যে মুসলমান ২৪ ঘন্টা ওযু অবস্থায় থাকে, সে আমার অনেক বড় শত্রু।"
যে সর্ব অবস্থায় অজু অবস্থায় থাকে এবং ওযু করে ঘুমায়, ফেরেশতা তার জন্য সর্ব অবস্থায় ইবাদতের নেকী লিখতে থাকে।নবীজি (স.) বলেছেন, "চার বিষয়ের উপর আমল করতে পারলে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হবে।"
নবীজি (স.) বলেছেন, "চার বিষয়ের উপর আমল করতে পারলে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হবে।"
দেশের অর্থনীতি সচল হয়ে যাবে, দেশ উন্নত হয়ে যাবে।নবীজির (স.) পাঁচটি উপদেশ দেন নি, শুধুমাত্র চারটি উপদেশ দিয়েছেন।শুধুমাত্র চারটি বিষয়ের উপর আমল করতে পারলে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হয়ে যাবেন!
১. জীবনে কারো সাথে প্রতারণা করবে না।
২. আমানতদার হবে।নবীজি (স.) বলেছেন, "কখনো আমানতের খিয়ানত করবে না।"
৩. কখনো মিথ্যা কথা বলবে না, সর্বদা সত্য কথা বলবে।নবীজি (স.) বলেছেন, "আমার উম্মত সব গুনাহ করতে পারে, কিন্তু দুইটি গুনাহ ব্যতীত।কখনো মিথ্যা কথা বলবে না, কখনো প্রতারণা করবে না।
নবীজির (স.) দুইটি গুণ সব থেকে বেশি হাইলাইটেড হয়েছে, সত্যবাদী ও আমানতদার।আমি মিম্বরে রাসুলের (স.) মধ্যে বসে আছি।যদি আপনারা আমাকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন যে, মাওলানা সাহেব, পুরো সম্পূর্ণ দ্বীনকে দুই শদ্বে ব্যক্ত করুন?
তাহলে আমি এই দুই শদ্বে ব্যক্ত করব, সত্যবাদী ও আমানতদার।যদি আপনি আপনারা আমাকে প্রশ্ন করেন, মাওলানা সাহেব সমস্ত দুনিয়ার কুফফরকে ব্যক্ত করুন?
তাহলে আমি উত্তর দিব, মিথ্যা ও প্রতারণা।মিথ্যা ও প্রতারণার মধ্যে সমস্ত দুনিয়ার কুফর লুকিয়ে আছে।সত্য ও আমানতদারীর মধ্যে সমস্ত দুনিয়ার ইসলাম লুকিয়ে আছে।সত্য ও আমানতকারী বীজের মত যা সমস্ত ইসলামকে বাগানের মত বিস্তার করে দেয়।মিথ্যা ও প্রতারণাও বীজের মত যা সমস্ত কুফরকে জঙ্গলের মত বাড়িয়ে দেয়।আমাদের সমাজ থেকে মিথ্যা ও প্রতারণা বের হয়ে গেলে, আমাদের সমাজ জান্নাতের টুকরাতে পরিণত হবে।হযরত জারীর বিন আব্দুল্লাহ (রাযি.) ইয়ামানের রাজপুত্র ছিল।বিদায় হজের সময় তিনি মুসলমান হয়েছিলেন।তিনি তার কর্মচারীকে বললেন, "তুমি ঘোড়া কিনে নিয়ে এসো, আমি এখানে পেমেন্ট করব।"
তার কর্মচারী বাজারে গিয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে, ঘোড়া কিনে নিয়ে আসেন।তিনি ঘোড়ার জাত সম্পর্কে জানতেন।তাই ঘোড়া দেখে বুঝতে পারলেন ঘোড়াটি অনেক মূল্যবান।তিনি বললেন, "তোমার ঘোড়া দাম ৪০০ দিলে হবে?"
বিক্রেতা হতবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে দেখতে দেখতে বললেন, "করে দিন।"
নিয়ম হচ্ছে, ক্রেতা যখন কোন জিনিস কিনতে যাবে তখন সেই জিনিসের দাম কমিয়ে নিতে চেষ্টা করবে।আর বিক্রেতা যখন কোন জিনিস বিক্রি করতে যাবে, সেই জিনিসের দাম বেশি দিয়ে বিক্রি করতে চাবে।এখানে ক্রেতা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে বলছে, "৪০০ দিব?"
বিক্রেতা বলে, "করে দাও।"
ক্রেতা বলে, "৫০০ দিবো?"
বিক্রেতা বলল, "করে দাও।"
ক্রেতা বলে, "৬০০ দিব?"
বিক্রেতা বলল, "করে দাও।"
সে এখন কিছু টা ঘাবরিয়ে গেলো।ক্রেতা বললো, "৭০০ দিব? ৮০০ দিব?"
এখন বিক্রেতা বলল, "নিলে নেন, না নিলে আমার সাথে মজা করবেন না।"
তিনি তার কর্মচারীকে বললেন, "তাকে ৮০০ দিয়ে দাও, ঘোড়া বেঁধে রাখো।"
বিক্রেতা হতবাক হয়ে খুশিতে লাফ দিতে দিতে সেখান থেকে চলে গেল।যখন বিক্রেতা চলে গেল কর্মচারী তাকে জিজ্ঞাসা করলো, "আমি যখন ৩০০ তে ডিল করে এসেছিলাম, আপনি কেন তাকে 500 এক্সট্রা দিলেন?"
সে তার কর্মচারীকে বলল, "আমার ভাই তার ঘোড়ার দাম ৮০০ ছিল, ৩০০ ছিলনা।"
আমি আমার নবীর (স.) হাতে হাত দিয়ে এই ওয়াদা করেছিলাম, জীবনে কারো সাথে প্রতারণা করবো না।সবার জন্য ভালো চাও।আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্যালেন্টের স্বল্পতা নেই, দক্ষতার স্বল্পতা নেই, স্বল্পতা আছে তো আমানতদারীর।আমাদের এখানে কাজ করার মানুষের স্বল্পতা নেই, আছে তো সত্যবাদীর।

No comments

Powered by Blogger.