মায়ের দোয়ায়ে জান্নাত পাওয়া যায়? - মাওলানা তারেক জামিল (বাংলা সাবটাইটেল সহ)


আপনার মার দোয়া নিন, আপনার বাবার দোয়া নিন।নবীজি (স.) বলেছেন, "ওমর (রাযি.) আমার পরে একজন লোক আসবে, তার নাম হবে ওয়ায়েস।তার গোত্র হবে করণ।তাকে দিয়ে দোয়া করিও।আলী (রাযি.) আপনিও দোয়া করিয়েন।"
প্রশ্ন করা হলো, "ইয়া রাসুলুল্লাহ! কেন?"
নবীজি (স.) বললেন, "সে তার মায়ের এইভাবে খেদমত করেছে যে, যখন সে হাত উঠিয়ে দোয়া করে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন।"
হযরত ওমর (রাযি.) হজের মৌসুমে সকল হাজীদের একত্রিত করলেন।তিনি বললেন, "ইয়ামান বাসীরা দাঁড়িয়ে থাকো, বাকি সবাই বসে যাও।"
তিনি আবার বললেন, "ইয়ামান বাসীরা বসে যাও করণ গোত্রের লোক ছাড়া।"
শুধুমাত্র একজন মানুষ দাঁড়িয়েছিল।তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি করণ গোত্রের?"
সে উত্তর দিল, "হ্যাঁ।"
তাকে প্রশ্ন করা হলো, "তুমি ওয়ায়সকে চিনো?"
সে উত্তর দিল, "হ্যাঁ, সে আমার ভাইয়ের ছেলে।সে একটু বোকাসোকা।আপনি তাকে কেন খুঁজছেন?"
হযরত ওমর বললেন, "সে পাগল নয়, তুমি পাগল।সে কোথায় গিয়েছে?"
তাকে উত্তর দিলেন, "সে আরাফাতের ময়দানের দিকে উঠ চরাতে গিয়েছে।"
হযরত ওমর হযরত আলীকে (রাযি.) সঙ্গে নিয়ে তাকে খোঁজার জন্য বের হলেন।তারা দেখলেন ওয়ায়েস করনী নামাজ পড়েছিল, আর উঠ গুলো আশেপাশে চোরছিল।যখন তিনি দেখলেন দুইজন ব্যক্তি এসে তার পাশে বসে আছে তো তিনি নামাজ সংক্ষিপ্ত করে দিলেন।হযরত ওমর (রাযি.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "কে তুমি?"
সে বলল, "আমি মজদুর।"
তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, "তোমার নাম কি?"
সে উত্তর দিল, "আল্লাহর বান্দা।"
"আরে ভাই, তোমার মা তোমাকে কি নাম দিয়েছে?"
সে হযরত ওমর ও আলীকে (রাযি.) চিনতে পারে নাই।হযরত আলী বললেন, "তিনি আমিরুল মুমিনীন ওমর বন খাত্তাব (রাযি.), আর আমি আলী বিন আবি তালিব (রাযি.)।"
সে ভয় পেয়ে বলল, "আমি ক্ষমা চাচ্ছি, আমি প্রথমবার এসেছি।আমি আপনাদের আগে কখনো দেখি নাই।বলুন, আমি আপনাদের জন্য কি করতে পারি।"
হযরত ওমর বললেন, "হাত উঠিয়ে আমাদের জন্য দোয়া করো।"
সে কান্না করা শুরু করে দিল।সে বলল, "আপনারা নবীর সাহাবী (রাযি.), আমি মিসকিন, আমার সেই যোগ্যতা রয়েছে আপনাদের জন্য দোয়া করার?"
তারা বলল, "হ্যাঁ, আমাদেরকে নবীজি বলেছিলেন, যদি ওয়ায়স আসে তাহলে তাকে দিয়ে দোয়া করানোর জন্য।"
হযরত ওমর ও আলীর (রাযি.) মত ব্যক্তিদেরকে দোয়া চাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।পিছনে কি তাহাজ্জুদের আমল রয়েছে, না। জিহাদের আমল রয়েছে, না। জ্ঞান অর্জনের আমন রয়েছে, না। নামাজের আমল রয়েছে, না। যাকাতের আমল রয়েছে, না। দান সদকার আমল রয়েছে, না।মায়ের খেদমতের জন্য এই প্রতিদান।নবীজী (স.) বলেন, "মানুষ জান্নাতে যাবে, ওয়ায়েসও তাদের সঙ্গে যাবে। আল্লাহ বলবেন, ওয়ায়েসকে আটকিয়ে দাও।ওয়ায়েস করণী ভয় পেয়ে বলবেন, "ইয়া আল্লাহ! আমাকে জান্নাতে যেতে দিচ্ছেন না কেন?"
আল্লাহ বলবেন, "পিছে দেখো।"
পিছে ঘুরে দেখবেন যে, বিশাল জনসমাগম জাহান্নামে যেতে থাকবে, ঈমানদার গুনাহগার মুসলমান।আল্লাহ বলবেন, "তুমি তোমার আঙ্গুল দিয়ে যার যার দিকে ইশারা করবে তোমার তোফায়েল তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করে দিব।"
এটি হলো মায়ের খেদমতের প্রতিদান।শুধু ডলারের সবকিছু নয়, এটি হল মায়ের খেদমতের প্রতিদান।নবীজী (স.) বলেন, "তোমার পিতা তোমার জান্নাতে সবথেকে বড় দরজা।"
যদি তোমার পিতাকে তুমি রাগান্বিত করে ইন্তেকাল করো তাহলে তোমার জান্নাতের দরজা খুলবে না।পিতার এই মর্যাদা।

No comments

Powered by Blogger.