ওমর বিন আব্দুল আজিজ রহ এর হৃদয় নিংড়ানো জীবনী! - মাওলানা তারেক জামিল (বাংলা সাবটাইটেল সহ)
সোলেইমান বিন আব্দুল মালিক বনু উমাইয়ার সব থেকে সুদর্শন বাদশাহ ছিলেন।৪২ বছর বয়সে ইন্তকাল করেন।তার লাশকে কবরের কাছে নিয়ে যেতেই, তার লাশ নড়াচড়া শুরু করে দিল।তার ছেলেরা বললো, “উনি জীবিত আছেন।“
তখন ওমর বিন আব্দুল আজিজ (রহ) বললেন, “ভাতিজারা উনি জীবিত নয়, উনার কবরের আজাব দ্রুত শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত দাফন কার্য শেষ করো।“
ওমর বিন আব্দুল আজিজ (রহ) যে সিংহাসনে বসেছিলেন, সেই সিংহাসনে তার পূর্বে সোলাইমান, ওয়ালিদ ও আব্দুল মালিক রাজত্ব করেছে।এই তিনজন নিজের মনকে রাজি করেছে, ওমর বিন আব্দুল আজিজ (রহ) আল্লাহকে রাজি করেছেন। ওমর বিন আব্দুল আজিজ (রহ) এর ইন্তকালের পূর্বে রাজা বিন হায়বাকে ডেকে বললেন,
আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান চাচাও ছিল শ্বশুরও ছিল, তার মেয় ফাতিমার সাথে বিয় হয়েছিল।
“আমি তাকে(আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান) কবরে নামিয়ে কাফনের গিরা খুলে দেখলাম তার চেহারা কিবলার থেকে সরে গিয়েছে এবং কালো হয়ে গিয়েছে। আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান ফর্সা ও সুদর্শন ছিলেন।তার ছেলে ওয়ালিদকেও আমি কবরে নামিয়েছি।
সে ১০ বছর রাজত্ব করেছে।
“আমি তার কাফনের গিরা খুলে দেখলাম তার চেহারা কিবলার থেকে সরে গিয়ে, কালো হয়ে গিয়েছে।সোলাইমানকে আমি কবরে নামিয়ে কাফনের গিরা খুলে দেখলাম তার চেহারাও কিবলার থেকে সরে গিয়ে, কালো হয়ে গিয়েছে।এখন আমি যাচ্ছি, আমার কি হয় দেখো।”
তিনজন হুকুমতের পূজা করেছে, ওমর বিন আব্দুল আজিজ (রহ) আল্লাহ’তায়লার পূজা করেছে। তিনি খলিফা হওয়ার পর, খুবই আজীব একটি খুতবা দিয়েছিলেন, “লোকসকল! ছোটবেলায় শাইরির শখ ছিল, তাই শায়রে হয়েছিলাম। যখন যৌবনে পদার্পণ করি, তখন জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণের কারণে জ্ঞান অর্জন করি।যখন যুবক হই তথন ফাতিমা বিনতে মারওয়ানকে ভালোবাসি এবং তাকে বিয়ে করি।এখন আল্লাহ আমাকে হুকমত দিয়েছেন, তোমরা দেখবে আমি এটির মাধ্যমে কিভাবে আল্লাহকে রাজি করি।“
আমাদের হুকমারাণরা ভোট থেকে আসে , আবার চলে যায় ৪-৫ বছর পরে।তিন বাররে আজম ধরে তাদের হুকমত ছিল। বানু উমাইয়ারা এতো ক্ষমতাবান ছিল যে, কেউ তাদের সামনে মাথা উঠিয়ে কথা বলার সাহস পেত না। উনি ২ বছর ২ মাস হুকুমত করেছেন।তিন বাররে আজামের মধ্যে নেওয়ার মত কেউ ছিলনা, তিন বাররে আজামের মধ্যে কোন ভিক্ষুক ছিলনা, তিন বাররে আজামের অত্যাচারী ছিল না, তিন বাররে আজামের মজলুম ছিল না কিন্তু তিনি কিভাবে জীবন-যাপন করেছেন?
No comments