যিনাকারী এক যুবকের কি শেষ পরিণতি হয়েছিল? - মাওলানা তারেক জামিল (বাংলা সাবটাইটেল সহ)


আমার ভাইয়েরা, অনেক বড় মজমা।আলহামদুলিল্লাহ, অধিকাংশ যুবক বসে আছেন এইখানে।যদি আজকে আপনারা তওবা করেন, তাহলে আল্লাহ অনেক খুশি হবেন।তওবার জন্য কোন বাধ্যবাধকতা নেই, কিন্তু যুবক বয়সের তওবা আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন।মুমিন তো অনেক অনেক ব্যক্তি ছিল, শায়র করার জন্য এই কথাগুলো বলেছেন।জীবনের শেষ মুহূর্তেও যদি তওবা করেন, আল্লাহ তওবা করার জন্য তৈরি।বনী ইসরাঈলের এক যুবক, তার নাম ছিল কীফল।প্রতি রাত্রে সে মেয়েদের সাথে পাপাচারে লিপ্ত থাকতো।মদ্যপান ও মেয়েদের সাথে পাপাচারে লিপ্ত হওয়া তার প্রতি রাত্রের কাজ ছিল।এক রাত্রিতে সে এক মেয়েকে নিয়ে আসলো, ৬০ দিনারের বিনিময়।বর্তমানের স্বর্ণের দামে হিসাবে ৬০ দিনার প্রায় দশ লক্ষ টাকার সমপরিমাণ হবে।এক মেয়েকে এক রাত্রি ভোগ করার জন্য যে, ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারে, ভাবুন তার কাছে কি পরিমাণ সম্পত্তি ছিল!
সে যখন সেই মেয়েকে নিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করল তখন দেখল, সেই মেয়েটি নিঃশব্দে কান্না করছে।কীফাল বলল, "কেন কান্না করছো?"
মেয়েটি বলল, "আমি পেশাদার পতিতা নই, আমাকে ক্ষুধার যন্ত্রণা এই কাজ করতে বাধ্য করেছে।"
কীফালের হৃদয় নরম হয়ে গেল, সে কান্না করা শুরু করে দিল।সে বলল, "তুমি আমার বোন।যে সম্মানের সাথে এসেছিলে, সেই সম্মানের সাথে এখান থেকে চলে যাও।আমার জন্য দোয়া করো, আমি অনেক খারাপ মানুষ।আমি তোমার কান্নার তোফায়েল তওবা করছি।"
কীফায়েল জানেনা, তার সাথে কিছু মুহুর্ত পরে কি হবে?
মেয়েটি বাসায় চলে গেল।কীফায়েল সেই মুহূর্তে জমিনে পড়ে গেল এবং মারা গেল।মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তওবা করেছে।তাকে মানুষ এই পরিমাণ ঘৃণা করতো যে, আগামীকাল যদি তার মৃতদেহ পাওয়া যায় কেউ তাকে গোসল দিতে আসবে না, কেউ কখন পড়াতে আসবে না, কেউ তাঁর দাফন দিবেনা।আমি কোরবান যাই আমার রবের ওপর।আল্লাহর নিয়ম বদলে দিলেন।আখেরাতের কথা লুকিয়ে আছে, বাজরাখের কথা লুকিয়ে আছে।ওপর।আল্লাহর নিয়ম বদলে দিলেন।যখন সকাল হলো মানুষ দেখলো কিফালের বাড়ির দরজায় নূরানী সতরে লিখা ছিল, “আল্লাহ অবশ্যই কীফালকে ক্ষমা করে দিয়েছে।“
যাও জানাযার ব্যবস্থা করো, যাও কাফন দাফনের ব্যবস্থা করো।এই যুবকটি ছিল বনি ইসরাইলের।শেষ সময়ের তওবার কারণে আল্লাহ তাকে এত মর্তবা দিয়েছেন আর আমরা তো মুহাম্মাদের (স.) উম্মত।আমার ভাইয়েরা, আমাদের তওবা তো খুব দ্রুত কবুল হবে।নিয়ত করছেন?
আজকে আল্লাহর সাথে সমঝোতা করে নেই, আপনাদের কি মন্তব্য?
তওবা করছেন?
তাহলে বলুন নিজের জবান থেকে, ইয়া আল্লাহ আমার তওবা কবুল করুন।সবাই বলুন জোরে বলুন, "আল্লাহ আমার তওবা, কবুল করুন।"
আবার বলুন, "ইয়া আল্লাহ! আমার তওবা।"
তিনবার এইজন্য বলতে বলেছি, তোমাদের জবানের সাথে সাথে যেন, তোমাদের হৃদয়ও বলে যে, আমি তওবা করছি।আপনার বয়স ১৬ বছর হোক, আর ১৬০০ বছর হোক, ২০ বছর হোক, আর ২০০ বছর হোক, যখন কোন বান্দা বলে, আল্লাহ আমি তওবা করছি।আল্লাহ তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন।এখানে যারা বসে আছেন তাদেরকে বলছি, আপনারা যদি মন থেকে তওবা করে থাকেন, তাহলে আল্লাহ আপনাদের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে আপনারা এসে পড়েছেন।এখন যদি আবার কখনো তওবা ভেঙ্গে যায়, তাহলে হতাশ হবেন না।শয়তান প্রতারণা করবে যে, এমন তওবার কি লাভ?
এখানে তওবা করলাম, আবার পরে ভেঙ্গে ফেললাম।হ্যাঁ, যখন তওবা ভেঙ্গে যাবে, আবার তওবা করে নিবেন।যখনই বলবেন, ইয়া আল্লাহ! ক্ষমা করে দিন।প্রতিবারই আল্লাহ তত খুশির সাথে ক্ষমা করবেন, যত পরিমাণ খুশি সাথে প্রথমবার ক্ষমা করেছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.